আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ

22nd June 2020 11:32 pm বর্ধমান
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ


বাবু সিদ্ধান্ত ( কাটোয়া ) :  তৃণমূলের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হামেশাই সরব হন  বিজেপি নেতৃত্ব । কিন্তু এবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেই আর্থিক নয় ছয়ের অভিযোগ তুলে সোচ্চার  হলেন  বিজেপির কর্মীরাই । এমন ঘটনা শুনে সবার  অবাক  লাগাটাই স্বাভবিক । কিন্তু বাস্তবেই আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির (গ্রামীন )সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের কাটোয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা । পোস্টারে ওই বিজেপি নেতার আর্থিক দুর্নীতির কথা লিখে, দলীয় পতাকা নিয়ে চলল বিক্ষোভ।এই ঘটনায় কাটোয়ার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়েছে । 

বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা এই প্রথম  কৃষ্ণ ঘোষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালো এমনটা নয় ।আমফান বিপর্যয়ে দলের  পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর হিসেব চেয়ে সপ্তাহ দেড়েক আগে দলের জেলা সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। ফের এদিন বিজেপি কর্মীরা  কৃষ্ণ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন । তাঁর পদত্যাগেরও  দাবি জানান বিজেপি কর্মীরা ।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া  বিজেপি কর্মী  উৎপল সাঁতরা, দেবজ্যোতি মণ্ডলরা অভিযোগে বলেন  “গত লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য দলের তরফে  ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল । কৃষ্ণ ঘোষ সেই টাকার হিসাব  আজও দেননি। এছাড়া অমিত শাহের কলকাতার সভার সময়  দল থেকে যে  টাকা দেওয়া হয়েছিল তারও হিসাব দেননি জেলা বিজেপি সভাপতি । এছাড়াও আমফান বিপর্যয়ে ত্রাণের হিসাবও  তিনি দেন নি।বিক্ষুব্ধ কর্মীরা অভিযোগ করেন দলের টাকা কৃষ্ণ ঘোষ আত্মসাৎ করেছে । তাই তারা কৃষ্ণ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে স্বোচ্চার হয়েছেন ।”যদিও নিজের  দলের কর্মীদের তোলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নস্যাৎ  করে দিয়েছেন কৃষ্ণ ঘোষ।  পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন , ঘটনার পেছনে শাসক দলের উস্কানী রয়েছে । শাসকদলের উস্কানিতেই কয়েকজন এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। 


 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।